‘সহযোগিতা পেলে এখান থেকেও সিদ্দিকুরের মতো খেলোয়াড় উঠে আসবে’

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী গল্ফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে (বিজিসিসি) দুই দিনব্যাপী বসুন্ধরা গল্ফ কাপ টুর্নামেন্ট-২০২২ উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘প্লে গলফ, লিভ লং’ স্লোগানে গতকাল শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে টুর্নামেন্ট শুরু হয়। আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অফিসার কমান্ডিং এবং শাহীন গল্ফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মো. জাহিদুর রহমান। টুর্নামেন্টকে ঘিরে গলফ ক্লাব এলাকাকে দৃষ্টিনন্দন ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকায় সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক, বসুন্ধরা গ্রুপের ডিজিএম (জনসংযোগ) স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, ম্যানেজার (জনসংযোগ) লেফটেনেন্ট (অব.) বিএন. আব্দুল মান্নান, এজিএম (ব্রান্ড কমিউনিকেশন, সেক্টর বি) সাইফুল ইসলাম রুবেল।

 

শাহীন গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মো. জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রথমবারের মতো ভাটিয়ারি গল্ফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে টুর্নামেন্ট স্পন্সর করায় বসুন্ধরা গ্রুপকে স্বাগত জানাই। এ ধরনের একটি বড় শিল্পগ্রুপ যখন সহযোগিতা করে তখন আশা করি বাংলাদেশে গল্ফের আরও উন্নতি হবে। আমি মনে করি, বসুন্ধরা গ্রুপ এ ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়মিত করবে। গল্ফে আরও অনেক বড় অবদান রাখবে। নবীন গল্ফাররা উৎসাহিত হবে, টুর্নামেন্টে যোগদান করবে। আশা করি,  বাংলাদেশ গলফে অনেক নাম করবে বিশ্বে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক বলেন, এ আয়োজনের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপবাংলাদেশের স্বনামধন্য অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। বসুন্ধরা গলফে এগিয়ে এসেছে, এটি অত্যন্ত সুখকর বিষয়। চট্টগ্রামে চারটি গল্ফ ক্লাব আছে। বেশি ভাইব্রেন্ট দুইটি ক্লাব- ভাটিয়ারি ও শাহীন গল্ফ ক্লাব। এখানে অনেক পুরনো গল্ফার আছেন যারা নিয়মিত আসেন। নতুন গল্ফার তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী থেকে নতুন গল্ফাররা বেরিয়ে আসছেন। তবে অন্যান্য খেলার তুলনায় গল্ফের প্রচার কম। আরও বেশি হওয়া উচিত। স্পন্সরদের দায়িত্ব আছে। আন্তর্জাতিক মানের গল্ফার সিদ্দিকুর রহমানকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। এখান থেকে তাঁর মতো গল্ফার বেরিয়ে আসবেন আশা করি। এর জন্য পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। বসুন্ধরার মতো সবাই এগিয়ে আসবে এ প্রত্যাশা করি।

টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ গল্ফ ফেডারেশনের নির্দেশনা, গাইডলাইন দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টুর্নামেন্ট হচ্ছে।

গলফ ব্যয়বহুল খেলা। প্রচুর সময় দেওয়ার প্রয়োজন হয় যদি পেশাদার হতে হয়। নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছে কেডি অ্যান্ড বলবয় থেকে। ভালো ভালো প্লেয়ার উঠে আসছে। ভারত, পাকিস্তান, ঢাকায়ও কেডি বয় থেকে ভালো প্লেয়ার উঠে আসছে। এই জন্য পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। আশা করি, সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহযোগিতা পেলে ক্রিকেট ফুটবলের মতো গল্ফেও ভালো করতে পারবে বাংলাদেশ।

আজ বেলা ২টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করবেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্টে নারী, পুরুষ ও জুনিয়র মিলে ২২২ জন খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১৩ জন বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছেন।

Source: kalerkantho