বসুন্ধরা বিটুমিন গুণেমানে নতুন পথ দেখাবে

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘নির্মাণকাজে বিটুমিন গুরুত্বপূর্ণ। এত দিন বিদেশ থেকে আসা বিটুমিনের ওপর এ দেশের সড়ক নির্মাণকাজ নির্ভর করত। এসব বিটুমিনের খারাপ মানের কারণে অনেক সময় নির্মাণকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বসুন্ধরা শিল্পগোষ্ঠী দেশের কল্যাণে ভূমিকা রাখছে। এরই মধ্যে তারা বিটুমিন উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে সড়ক বিভাগ এ বিটুমিনকে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে এবং নির্মাণকাজে ব্যবহার করছে। আশা করছি বসুন্ধরা বিটুমিন গুণেমানে নতুন পথ দেখাবে।

বিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে বসুন্ধরা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ‘বসুন্ধরা বিটুমিন’-এর ইঞ্জিনিয়ার মিট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী বসুন্ধরা বিটুমিনের সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব আনন্দিত। বিটুমিনের জন্য আমাদের সব সময় বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হতো। আবার এগুলোর মান ভালো না হওয়ায় নির্মাণকাজগুলোর মান নষ্ট হয়ে যায়। দেশের বেসরকারি খাতে প্রথম প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা বিটুমিন। গুণ ও মান অক্ষুণ্ন রেখে প্রতিষ্ঠানটি দেশের সেবায় এগিয়ে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’

মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী কাজী মোজাহারুল হক বসুন্ধরা বিটুমিনকে স্বপ্নে পাওয়া ধন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘অন্য পণ্যের মান খারাপ হলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু বিটুমিনের মান খারাপ হলে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জনগণের অর্থ নাশ হবে। সরকারি বিটুমিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দেশের চাহিদার ২০ শতাংশও মেটাতে পারে না। এ ক্ষেত্রে বসুন্ধরা বিটুমিন বিশেষ চমক। আমরা ৩০টি জেলায় নির্মাণকাজ করছি। এর মধ্যে এই বিটুমিন ব্যবহার করছি। আশা করি বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের স্বার্থে এই পণ্যের মান বজায় রেখে তাদের উৎপাদন অব্যাহত রাখবে।’

অনুষ্ঠানে খুলনা চেম্বারের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু, বসুন্ধরা বিটুমিনের পরামর্শক ও আইইউটির সহকারী অধ্যাপক ড. নাজমুস সাকিব, বসুন্ধরা বিটুমিনের অ্যাসিট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) সুকান্ত কুমার সাহা বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, খুলনা সিটি করপোরেশন, ঠিকাদার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Source: কালের কণ্ঠ